সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

বানিয়াচং প্রতিনিধি :>>

প্রকাশ ২৩/০৪/২০২৪ ১২:০৭:০৩

প্রকৃতির নির্মম তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ক্রমেই প্রভাব ফেলেছে আমাদের প্রাত্যহিক জনজীবনে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম আরও বেশি অসহনীয় হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচং উপজেলায় পড়ছে এর প্রভাব। প্রচন্ড এই গরমের মধ্যে কোমল পানীয়তে একটুখানি চুমুক না দিলে চলেই না। গরমে পাড়া-মহল্লার দোকানে কোমল পানীয়র ক্রেতাই বেশি। সবমিলে বেড়ে গেছে কোমল পানীয়র চাহিদা।

এ কারণে তেজি রোদে শ্রান্ত মানুষের কথা চিন্তা করে বানিয়াচং উপজেলা সদরের বিভিন্ন দোকানি, হোটেল বা খাবারের দোকানের মালিকরাও ঠান্ডা পানীয়র নানা রকম আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন। তাদের দোকানে এসব পানীয়র বিক্রিও হচ্ছে দেদারছে। এদিকে অব্যাহত তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। তাপদাহের বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই। শিশু থেকে শুরু করে যুবক বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। তবে তারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে স্থানীয় ঔষধের দোকানগুলোতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে ঔষধ কিনে নিয়ে আসছেন।

বিশেষ করে গত কয়েকদিনের প্রচন্ড গরমে জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ঘামতে ঘামতে রাস্তায় হাঁটছেন পথিক। যানজটে আটকা পড়া মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। হাঁসফাঁস অবস্থা রাস্তায় বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষের। দিন বাড়ার সাথে সুর্যের প্রখরতার প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিজ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে একেবারেই বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে খেটে খাওয়া মানুষ বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে দৈনন্দিন কর্মকান্ড করতে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও একটু স্বস্তি নেই।

অন্যদিকে প্রচন্ডে গরমের মধ্যে কৃষক ও শ্রমিকরা হাওরের মধ্যে ধান কাটতে বেগ পোহাচ্ছেন। সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেটে খাওয়া লোকজন সামান্য একটু শান্তির আশায় বিভিন্ন ছায়াদানকারী গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। তরুণ ছেলেদের বিভিন্ন কোমল পানীয়র দোকানে দাঁড়িয়ে বা বসে এনার্জি ড্রিংক্স ঠান্ডা পানি ইত্যাদি পান করতে দেখা গেছে। সেই সাথে প্রচন্ড গরমে লেবুর শরবত ও ডাবের পানি বিক্রিও বেড়ে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের দল বেঁধে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা যায়।

এই গরমে বাজারে কদর বেড়েছে বিভিন্ন কোম্পানির আইসক্রিম ও কোমল পানীয়ের। বানিয়াচং নতুন বাজারের সাকিব স্টোরের মালিক মিজাজ আলী বলেন, বিগত রমজানে কোমল পানীয়র বিক্রি একেবারেই কমে গিয়েছিল। আইসক্রিমের চাহিদাও ছিল না। এখন কয়েদিনের গরমে সেসব বিক্রি আবারও ফিরেছে। প্রচুর মানুষ কোল্ড ড্রিংস, আইসক্রিমসহ নানা ধরনের পানীয় কিনছেন। বেশিরভাগ ক্রেতা আসেন কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম আর অ্যানার্জি ড্রিংকস কিনতে। সারাদিনই এসব প্রচুর বিক্রি হয়। আর গত এক দিনের তীব্র গরমের কারণে সেটা আরও বেড়েছে।

বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও টিএইচও ডা. শামিমা আক্তার জানান, এই গরমে বেশিক্ষণ খোলা স্থানে থাকলে হিট স্ট্রোকের আশংকা বেশি থাকে। চলমান তাপদাহের প্রচন্ড রোদের তাপ থেকে যতদূর পারা যায় নিজেদের ছায়ায় রাখার চেষ্টা করুন। অবশ্যই সুপেয় পানি পান করতে হবে। শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই গোসল করে শরীর পরিস্কার করে নেয়া ভাল। বিশেষ করে রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজের রক্ষিত ঠান্ডা পানির সাথে নরমাল পানি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। খুব সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করুন।

সিলেট আই নিউজ / এসএম

মাই ওয়েব বিট

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।

ফেসবুক পেইজ